শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া না যায় এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প মূল্যায়নের চিন্তাভাবনা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তই রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের অংশ হিসেবে কেরানীগঞ্জ জাজিরা মোহাম্মদিয়া আলীম মাদরাসায়, দুপুরে ইডেন মহিলা কলেজে, মোহাম্মপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে, আগারগাঁও মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং সরকারি তিতুমীর কলেজে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, গত বছরের শেষে এবং এ বছরের শুরুতে সংক্রমণের হার আমরা কমিয়ে আনতে পেরেছিলাম। এখন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বগামী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘৫ শতাংশের নিচে গেলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো একটা পরিস্থিতি হয়। কিন্তু এখন তো অনেক বেশি। সংক্রমণের হার ১৩ শতাংশের বেশি।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানলে সংক্রমণ কমবে। আমরা তো মানছি না, আর মানছি না বলেই বারবার খারাপের দিকে যাচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমারা দেখেছি অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ভালো করছে। এসএসসির জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসির জন্য ৮৪ দিনের অ্যাসাইনমেন্ট আমরা দিচ্ছি। আমরা চেষ্টা করে যাব, আরো কিছুদিন হয়তো দেখতে হবে। যদি দেখি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একবারেই খোলা সম্ভব হচ্ছে না, তখন আমরা বিকল্প অনেক কিছুই চিন্তা করে রেখেছি। কী কী সিনারিও হতে পারে তারও চিন্তা করছি। সব রকমের সিনারিও চিন্তা করে কী কী সম্ভাব্য বিকল্প থাকতে পারে সেটা নিয়ে কাজ করছি। যদি পরীক্ষা নেওয়া না যায় তাহলে বিকল্প কিভাবে মূল্যায়ন হতে পারে, সেগুলো আমরা ভাবছি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক রকম চিন্তা আছে। কিন্তু পরীক্ষা হবে কি হবে না, এই মুহূর্তে বলে দিতে পারছি না। হয়তো বা খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটা নিতে হবে। পরীক্ষা নিতে পারব কি পারব না সেটা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যেটাই হোক, শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণ মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত হবে।
মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার চাপ রেখে আনন্দের মধ্য দিয়ে কিভাবে পরীক্ষার্থীরা শিখবে তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অ্যাসাইনমেন্ট এক ধরনের পরীক্ষা। এটা কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্টের একটি পার্ট। আমরা অনেক রকম মূল্যায়নের চেষ্টা করছি।
শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া অব্যাহত রাখা এবং শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইন গেমসে আসক্ত হয়ে না পড়ে সে বিষয়ে নজর রাখতে অভিভাবকেদের প্রতি আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধনের সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক উপস্থিত ছিলেন।